^^ নিজেকে নিজের চোখে দেখা এবং নৈতিকতার বারোটা বেজে যাওয়া
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫১:০৮ সকাল
বাসে প্রচুর ভিড়। নিঃশ্বাস বন্ধ করা সেই ভিড়ে মধ্যবয়স্ক একজন কন্ডাক্টর ভাড়া নিচ্ছে। এক পর্যায়ে একজনের সামনে এসে, ' মামা আপনার ভাড়াটা?' যাকে বলা হল সে কোনো কথা না বলে সামনে তাকিয়ে থাকে। আবার একই কথা বলতেই- ' এই ...ঞ্চোত! একবার ভাড়া দিলাম না?' কথায় কথা বাড়ে... হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় অনেক সময়।
একজন দশ টাকার নোট দিয়েছে। ভাড়া পাঁচ টাকা। কন্ডাক্টর দুই টাকা ফেরত দিতেই-'এ্যাই, আর তিন টাকা কই?' ... ' মামা, ভাড়া আট টাকা।' ...' কবে থেকে? নতুন যাই মনে হয়?' ... 'আমরা ও তো নতুন নেই না'... 'জলদি তিন টাকা দে'...। পেছন থেকে একজন-' ...লাদের মাইর দেয়া দরকার'। এক পর্যায়ে কন্ডাক্টরের কানের উপর দু'এক ঘা... যাত্রী বনাম বাস স্টাফদের এই অসম যুদ্ধে নির্যাতিত হয়েও অতি স্বাভাবিক থেকে যায় এই স্টাফেরা।
চলার পথে এগুলো খুব কমন দৃশ্য। আমি বলছি না পরিবহন স্টাফেরা ধোঁয়া তুলসি পাতা। তবে ওদের জ্ঞান-রুচিবোধের সাথে আমাদের অনেক পার্থক্য। তাই একবার ভাড়া নিয়েও ভুলে আবার চাওয়াতে কোনো দোষ দেখি না। সামান্য দু'তিন টাকার জন্য নিজেকে মানুষ থেকে পশুর পর্যায়ে নামিয়ে আনাটাও ঠিক না।
রিক্সায় উঠেছেন ভদ্রলোক, ভাড়া ঠিক করে নেন নাই। গন্তব্যে পৌঁছে স্বাভাবিক ভাড়ার থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দাবী করাতেই হাতের ছাতা দিয়ে গোটা দুই বাড়ি রিক্সাওয়ালার শরীরে। কিংবা রিক্সায় ওঠার আগে ভাড়া কত নিবে জানার সময় অতিরিক্ত চাওয়াতে একটা অকথ্য ভাষার প্রয়োগ... এসবও প্রতিদিন দেখি... শুনি। নিজেকে ওই অশিক্ষিত গরীব মানুষগুলোর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটাও কি ঠিক?
বাসে উঠেছেন, তাড়া আছে দ্রুত পৌঁছাবার। সবারই থাকে। ড্রাইভার জায়গায় জায়গায় বাস থামাচ্ছে। যাত্রীরা চিৎকার করছে, ' এ্যাই ...য়ার পো। বাস ছাড়োছ না ক্যা? ড্রাইভার ইচ্ছে করে আরো ঘাউরামি করে। এক মিনিটের যায়গায় আরো কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। ফলাফলঃ ড্রাইভার-হেল্পারকে আচ্ছামত 'মাইর'। এগুলো কিন্তু আমাদের মতো সাদা মনের দাবীদার মানুষেরাই করি। একটু ধৈর্য-সহিষ্ণুতার অভাব আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কখনো ভেবেছি কি?
এতোক্ষণ বলা হল যারা পাবলিক পরিবহনে চলাফেরা করেন, তাদের সাথে রিলেটেড প্রতিদিনের কিছু কমন ইন্সিডেন্ট। এবারে যারা নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের বেলায় ঘটে যাওয়া কিছু দৃশ্যের বলছি।
প্রচন্ড জ্যাম... প্রাইভেট কারে এসির ভিতরে বসে একটু পরপর উত্তেজিত হচ্ছেন-'নাহ! এই দেশটার কিছুই হবে না। কেউ কোনো নিয়ম মানে না।' পরক্ষনেই অন্য একটা কারকে আপনার ডান পাশ দিয়ে রঙ সাইড ধরে বেরিয়ে যেতে দেখেই ড্রাইভারকে- ' কি ব্যাপার? সবাই চলে যাচ্ছে, তুমি কি করছ? যাও, ওই পাশ দিয়ে ওর পিছনে রওনা হও।' ভালোই আইন মানলেন!
খালি রাস্তা... তেমন ভিড় নেই... একটা মোড় ঘুরার সময়ে হঠাৎ একটা রিক্সা আপনার গাড়ির সামনে। প্রচন্ড ব্রেক... আর একই সাথে নিজের মুখের ব্রেক ছেড়ে দেয়া- ' আবে ...লার পো, মরার আর যায়গা পেলি না? কিভাবে রিক্সা চালাস? অ্যাই তোরে লাইসেন্স কে দিছে রাস্তায় বের হবার?' বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রিক্সাওয়ালারা চুপ থাকে। তবে কিছু ঘাড় ত্যাড়া রিক্সাওয়ালা ত্বড়িত মুখের ওপর জবাব দেয়... আর শিক্ষিত-উচ্চবিত্ত মানুষগুলোর হাতের জোর কেমন সেই পরীক্ষার গিলোটিনে গিনিপিগ হয়।
এরকম অসংখ্য ছোটখাট জিনিসের কথা উল্লেখ করে লেখার কলেবর বৃদ্ধি করতে চাই না। আমি এখানে যাত্রী এবং পরিবহন স্টাফদের ভিতরকার কিছু আচরণের কথা বলছি না। আমি মানুষের সাথে মানূষের ছোট ছোট ব্যবহারের কথা বলছি। যেগুলো আমরা সচরাচর ভুলে যাই। ভয়-ক্রোধ ও হতাশার সময়ে আমরা নিজেদের ভেতর থেকে বের হয়ে আসি। আমাদের মুখোশ খুলে যায়। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা নিজেদেরকে দেখতে পাইনা। তবে অন্যের চোখে ঠিকই সেগুলো ধরা পড়ে। তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব... আমরা মানুষ।
এজন্য আসুন (আমি সহ), নিজের চোখে নিজেকে দেখি... সংশোধন হই।
এবার একটু পিছনে ফিরে যাবো....
সবার মত কাশেম সাহেবও একটু আগেই ফ্যাক্টরিতে গেলেন।
ঢুকতেই গেটে দু'টো পোস্টার চোখে পড়ল।
শোক দিবসের।
ওহ! আজ তো ২৪ এপ্রিল... রানা প্লাজা ধসের বছরপুর্তি হল আজ। সুউচ্চ ভবনটির শীর্ষে একটি বিশালাকার কালো পতাকা নিজের অবস্থান সাবলিলভাবে জানাচ্ছে।
নিজের সীটে বসলে মেইন গেট এবং তার আশপাশ পরিষ্কার দেখা যায়। সকালের লাল চা বানাচ্ছে আকরাম। প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক। ৮টা বেজে ৫ মিনিট হলেই ইলেক্ট্রিক কেটলির শব্দ আর সাথে আদার ঘ্রাণ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কাশেম সাহেব সহ অন্যদের নাসারন্ধ্রে অন্যরকম সতেজ আমেজ এনে দেয়।
চা শেষ করতে না করতেই দেয়ালের স্পীকারগুলো জ্যান্ত হইয়ে উঠে। জিএম স্যার সকলের উদ্দেশ্যে কিছু বলছেন। কান খাড়া করে শুনলেন। একবার নিজের কানে হাত দিয়ে দেখলেন কান খাড়া হয়ে আছে কিনা। মানুষ কি সব যে উদাহরণ দেয় না।
দুপুর ১২টা ১ মিনিটে দেশের সকল পোষাক কারখানায় এক সাথে মোনাজাত ও দোয়া করা হবে। সেই ঘোষণাই দিলেন জিএম স্যার।
নিজের কাজে ডুবে গেলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর এক একজন এসে আশেপাশের ফ্যাক্টরিগুলোর খবর শুনিয়ে যাচ্ছে। চৌরাস্তার কোন এক ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকেরা আজ ফ্যাক্টরী বন্ধের দাবীতে ভাঙচুর করেছে। কয়েকটি নাকি ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
সাড়ে এগারোটার দিকে ইমাম সাহেবকে দেখা গেলো মেইন গেইট দিয়ে ঢুকছেন। কাশেম সাহেবের ইউনিটের পাশ দিয়েই এইচ আর ডিপার্টমেন্টে যেতে হয়। পিওন আকরামকে দিয়ে ইমাম সাহেবকে ওনার সেকশনে ডাকালেন। হাতে আধা ঘন্টা সময় থাকাতে ইমাম সাহেবও চলে এলেন। কাশেম সাহেব নামাজি মানুষ হলেও মসজিদে কমই যান। অফিসে সকলের সাথে জামাতে নামাজ পড়লেও মসজিদে গিয়ে জামাতে পড়া হয়ে উঠে না। তবে যাওয়া আসার পথে ইমাম সাহেবের সাথে স্বাভাবিক কুশল বিনিময়ের সুত্রে একটু-আধটু পরিচয় হয়েই গেছে।
কাশেম সাহেব ও ইমাম সাহেব মুখোমুখি বসা।
টুকটাক কথা বার্তা হল। সব আজকের দোয়া মাহফিলের ব্যাপারেই। ইমাম সাহেব উঠে যাবার আগে কাশেম সাহেব বললেন,
‘ একটা প্রশ্ন করতে চাই, যদি রাগ না করেন তবে বলি?’
‘ না না কি যে বলেন রাগ করব কেন? ইসলামে রাগ করা তো হারাম!’
‘ আমার ইসলামিক জ্ঞান একেবারেই নেই। তবে আপনাদের মতো বুজুর্গদের মুখেই শুনেছি যে, দেয়াল বা ভারী কোনো বস্তু চাপা পড়ে মারা গেল্ আগুনে পুড়ে বা পানিতে ডুবে মৃত্যুর মতো শহীদের মৃত্যু হয়?’
‘ মোটামুটি ঠিকই শুনেছেন আপনি।‘
‘ তবে রানা প্লাজার এই যে সাড়ে এগারো শ’ নিরাপরাধ শ্রমিকেরা ভবন চাপা পড়ে মারা গেলেন- অন্য অর্থে এরা সবাই শহীদের মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে আজ এদের রুহের জন্য আর কি মাগফিরাত কামনা করে দো’আ করবেন আপনি? এরা তো সবাই নিয়ামানুযায়ী জান্নাতবাসী হবেন, তাই না?’
‘যদি এরা বান্দার কোনো হক মেরে না থাকেন, তবে তা ই আশা করা যায়।‘
‘যাদের হক মালিকেরা প্রতি মুহুর্তে মেরে মেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তারা আর কার হক মেরে থাকবে? ... এই শ্রমিকদের এখন আর কোনো দো’আর প্রয়োজন নেই। এদের পরিবারের জন্য প্রতিশ্রুত দাওয়া অর্থাৎ ক্ষতিপুরণের টাকা সরকার এবং মালিক পক্ষের সংগঠন বিজিএমইএ দিয়ে দিলেই তাদের আত্মা শান্তি পাবে।‘
ইমাম সাহেব একটু হতচকিত হয়ে গেলেন তবে মুহুর্তেই হেসে সামলে নিলেন। বললেন,
‘ আসলে অনেক কিছুই আছে যা মনে এলেও মুখে বলা যায় না। আবার এমন কিছু রছম আছে যা বাহ্যিক চোখে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও সামাজিক নিয়মের জন্য তা করতে হয়।‘
‘ কিন্তু এটা করা কি ঠিক?’
‘ ঠিক না হলেও করতে হয়...’
‘লোক দেখানো এইগুলো না করে ওদের প্রাপ্য পরিশোধ করলেই তো ভালো হত। আপনি এলাকার সকল মুসলিম জনসাধারণের নেতা। আজ আপনি কি মোনাজাতের পুর্বে আমি যে কথাগুলো বললাম তা বলতে পারবেন?’
ইমাম সাহেব এক মুহুর্ত ভাবলেন। মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। এরপর কাশেম সাহেবের চোখে তাকিয়ে বললেন,
‘জী না, আমি তা পারব না। আপনি কি পারবেন আপনার জেনারেল ম্যানেজারের সামনে দাঁড়িয়ে মোনাজাত না করে আপনার কথামতো ওদের ক্ষতিপুরণের টাকা দেবার কথা বলতে?’
কাশেম সাহেব না সুচক মাথা নাড়তেই ইমাম সাহেব আবার বললেন,
‘ঠিক যে কারণেই আপনি পারবেন না, আমিও একই কারণে পারব না। কিন্তু কথা আপনি একেবারে সঠিক বলেছেন। তবে আমার ঈমান এখনো হয়তো এতোটা শক্ত হয়নি যে, আমি আপনার কথার ভিতরের আসল কথাটি সকলকে বুঝাই। আমাকেও এই চাকুরির উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হয়।‘
কিছুটা ন্যুজ ভঙ্গীতে ইমাম সাহেব এইচ আর ডিপার্টমেন্টের দিকে এগিয়ে গেলেন। বারোটা বেজে গেছে। দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মনে মনে কাশেম সাহেবও ভাবলেন,
‘ হ্যা, আমাদের নৈতিকতার বারোটা ও বেজে গেছে।‘
বিষয়: বিবিধ
১০৩১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।
সামাজিক-মানষিক অস্হিরতায় নিমজ্জিত মানুষগুলো ভিতরের অসহ্যতা চারপাশে এ ভাবে উগড়ে দিয়ে কিছু মনের জ্বালা মেটায়,অধিকাংশই।কালো মনের কিছু মানুষ অযথাই এমন করে।নৈতিকতার স্ফুরণ না ঘটলে চলতেই থাকবে এগুলো।
বিবেক দিয়ে একটু ভাবা উচিত আমাদের সবার।
ধন্যবাদ বেশুমার আপনার জন্যে...
নৈতিকতার স্ফুরণ ঘটুক সবার মাঝে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
এজন্যই লেখায় উল্লেখ করেছিলাম, "এজন্য আসুন (আমি সহ), নিজের চোখে নিজেকে দেখি... সংশোধন হই"- আগে এই লেখার বিষয়বস্তু আমার নিজের দরকার। আর আমি অন্যকে যখনই বললাম, এই খারাপ কাজটি করতে গেলে আমার নিজের ভিতরেই এক প্রকার দ্বিধা চলে আসাই স্বাভাবিক, যদি আমি মানুষ হই।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা। ১০০ তে ১০০
নিত্যদিনের এই কমন জিনিসগুলো দেখতে দেখতে আমাদের হৃদয়ে বসে গেলেই সমস্যা। তখন হৃদয় থেকে বের করাটাই অনেক কষ্টকর হবে। সবাই এজন্য যার যার যায়গায় থেকেই ঠিক হয়ে যাওয়া উচিত। আর এ ক্ষেত্রে পরিবার নিজ নিজ সন্তানদেরকে এ ব্যাপারে শিক্ষা দিতে পারে।তার ছোট থেকেই এই 'ম্যানারস' গুলো শিখে নিক।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা।
খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা। ১০০ তে ১০০ ।
আমি ও দিলাম ।
এখন ভাবছি, ইস! আপনি আর ফেরারী মন যদি আমার সময়ের আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টীচার হতেন।
শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে ধন্যবাদ শত ব্যস্ততার ভিতরেও ব্লগে সময় দিয়েছেন এজন্য।
আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা অনেক অনেক।
ভালো থাকবেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার এই লেখায় উপরের টির মত অনেক ব্যতিক্রম উঠে এসেছে। আসলে আপনি একজন কাব্যিক মানুষ, সমাজের প্রতিটি ব্যতিক্রমকে লক্ষ্য করেন সূক্ষ্ম নজরে। অনেক ধন্যবাদ
যিনি লেখার ভিতরের সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো ধরে ফেলেন- বাস্তবেও তো তিনি একই রকম।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
গড়ে উঠে মহাদেশ সাগর অতল"। অংশটুকু বাস কনট্রাক্টর আর ড্রাইভারের জন্য।
আর কাসেম সাহেব তো আপনি নিজেই।
"এ যেন অন্য রকম জীবন, স্বার্থের কাছে বন্দী মন"- আইয়ুব বাচ্ছু।
আপনার ধারণা সঠিক।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন